শেরপুর জেলার অন্তর্গত নালিতাবাড়ী উপজেলাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সদর হইতে প্রায় ২৫ কিমি দূরে গারো পাহাড়ের পাদদেশে উপজেলাটি অবস্থিত। বর্তমানে ০১টি পৌরসভা, ১২টি ইউনিয়ন, ১০৮টি মৌজা ও ২০৫টি গ্রাম নিয়ে উপজেলাটি গঠিত। উপজেলার মোট আয়তন ৩২৭.৬১ বর্গকিমি, লোকসংখ্যা(২০০১ আদমশুমারী মতে) ২,৫২,৯৩৫ জন যার মধ্যে পুরুষ-১২৮৯৬৩ জন ও মহিলা-১২৩৯৭২ জন।
এর উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিনে শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা এবং পশ্চিমে ঝিনাইগাতি উপজেলা অবস্থিত। কংশ, ভোগাই অন্যতম প্রধান নদী। উপজেলার মোট জমির ৮১৪৪৩.৩৩৬ একর যার মধ্যে কৃষি জমির পরিমান ৬৬৫৫৭.৩২৬ একর । ভারতের সাথে মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য ১৫ কিমি।
নালিতাবাড়ী উপজেলাটির নামকরণ ‘নলিতা’ যার অর্থ ‘পাট’ হইতে উৎপত্তি হয়। স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পাট উৎপন্ন হয় বিধায় অত্র উপজেলার নামকরণ এমন হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত ভারতে ‘কৃষক বিদ্রোহ’ সংঘঠিত হয়। তেভাগা আন্দোলনে সাচী রায় নিহত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে নালিতাবাড়ী উপজেলার শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান চেল্লাখালী খাল এর নিকট শহীদ হন।
নালিতাবাড়ী উপজেলায় আদিবাসীদের মধ্যে গারো, হাজং, কোচ, ঢালু এর বসবাস রয়েছে। দর্শনীয় স্থান হিসাবে রাবার ড্যাম, পর্যটন কেন্দ্র মধুটিলা ইকো পার্ক, পানিহাতা ও বারুয়ামারী মিশন উল্লেখযোগ্য। অর্থনৈতিকভাবে নাকুগাঁও স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস